ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নতুন ঘর পাবে অগ্নিদুর্গত দুইটি পরিবার -ইউএনও

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে দুইটি বসতঘর ও তিনটি দোকান। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। আগুন লাগার সাথে সাথেই তার লেলিহান শিখায় মুহুর্তে মধ্যেই এসব বসতবাড়ি ও দোকান সমুহ পড়ে যায়। পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শীলপাড়া এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় বিধান শীল ও ডাক্তার বিকাশ শীলের বসতঘর এবং হৃদয় শীলের তিনটি দোকান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বলেন, শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে ডাক্তার বিধান শীলের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী বিধান শীলের বসতবাড়ি ও হৃদয় শীলের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চকরিয়া পৌর সদর থেকে দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষণে দুইটি বসতঘর ও তিনটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল সকালে চকিিরয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওইসময় ইউএনও শিবলী নোমান মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ দুইটি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থায়নে জেলা প্রশাসনের বিশেষ বরাদ্দে নতুন ঘর নির্মাণের ঘোষনা দেন। একইসঙ্গে অপর ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদেরকেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ^াস দেন।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. সাইফুল হাসান বলেন, সাহারবিল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শীলপাড়া এলাকায় বসতবাড়ির বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে এরআগে দুইটি বসতবাড়ি ও তিনটি দোকান আগুনে পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে বলেও জানান তিনি।##

হাতি আর মানুষের সংঘাত থামাতে বনাঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে-চকরিয়ায় সেমিনারে অভিমত

চকরিয়ায় সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন চবি প্রাণী ও হাতি বিভাগের প্রধান হাতি বিশেষজ্ঞ ড. রায়হান।

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া

নির্বিচারে পাহাড় নিধন, বনাঞ্চল জবর-দখলের পাশাপাশি বৃক্ষরাজি উজাড় ও হাতির অভয়ারণ্যে দিনের পর দিন নতুন নতুন জনবসতি গড়ে তোলার কারণে বর্তমানে পাহাড়ি জনপদে হাতি আর মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ সংঘাতের ঘটনা বেড়ে চলছে। এতে প্রতিনিয়ত হাতির আক্রমনে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরন ঘটাতে হলে সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে জীববৈচিত্র ও প্রয়োজন বনাঞ্চলের সুরক্ষা। বন্ধ করতে বনাঞ্চলের সবধরণের নৈতিবাচক কার্যক্রম।

শনিবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলায়তনে অনুষ্ঠিত হাতি-মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহন জরুরী শীর্ষক সচেতামুলক কর্মশালায় বক্তারা এ অভিমত প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের চুনতি অভ্যয়ারণ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মনজুরুল আলম। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্রগ্রাম বিশ^ বিদ্যালয়ে প্রানী ও হাতি বিভাগের প্রধান ড. রায়হান। তিনি বলেন, মানুষ আর হাতির মধ্যে দ্বন্ধের অনেক গুলো কারণ তার মধ্যে অন্যতম হল হাতির জন্য সংরক্ষিত জায়গায় দখল পাহাড় ধংস খাদ্যয়ের অভাব। হাতিসহ বন্যপ্রাণিদের খাদ্য আহরণের এলাকা মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়া ও বসবাস হওয়ায় ফলে হাতিসহ বন্যপ্রাণিরা লোকালয়ে ডুকে যাচ্ছে । নিশ্চিত করতে হবে তাদের খাবার এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে হাতির আগের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াসিন নেওয়াজ। তিনি বলেন, আগামীতে সবাইকে শেখানো হবে কিভাবে হাতিসহ বন্যপ্রাণিদের আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হয়। মানুষ-হাতির দ্বন্ধ নিরসনকল্পে সরকার একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসরাম মিরান, হারবাং বন্যপ্রানী অভ্যরণ্য বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোমারফ হোসেন, উত্তর হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল আহমদ। ##

পাঠকের মতামত: